কাশ্মীরে ১১ পুলিশকর্মীর আত্মীয়দের অপহরণ সন্ত্রাসবাদীদের, এবার চোখের বদলে চোখ, দায় নিয়ে হুমকি হিজবুলের

শ্রীনগরঃ এবার কাশ্মীরে পুলিশকর্মীদের ওপর চাপ তৈরি করে তাঁদের মনে ভীতি, আতঙ্ক ছড়াতে অপহরণের রাস্তায় সন্ত্রাসবাদীরা। গত ৪০ ঘন্টায় দক্ষিণ কাশ্মীরের নানা জায়গা থেকে ১১ পুলিশকর্মীর আত্মীয়দের তুলে নিয়ে গিয়েছে তারা। এনআইএর হাতে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিনের পুত্র শাহিনের গ্রেফতারির দিনই এই অপহরণের খবর এসেছে। কাশ্মীর পুলিশের তরফে এ ব্যাপারে কোনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবে ট্যুইট করে বলা হয়েছে, অপহরণের খবর সম্পর্কে তারা খোঁজখবর করছে। তবে এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল সূত্রের দাবি, এমন অন্তত ১১ জনকে গতকাল রাতে সোপিয়ান, কুলগাম, অনন্তনাগ ও অবন্তিপোরা থেকে জঙ্গিরা অপহরণ করেছে যাদের পরিবারের কেউ না কেউ পুলিশে চাকরি করেন। সালাউদ্দিনের সংগঠন হিজবুলের প্রধান রিয়াজ নাইকু এই অপহরণের দায় স্বীকার করে এর পিছনে যুক্তি খাড়া করতে গিয়ে বলেছে, পুলিশই আমাদের এ পথে যেতে বাধ্য করেছে। এখন থেকে চোখের বদলে চোখ, ঘরের বদলে ঘর, পরিবারের বদলে পরিবার-এই নীতিতেই চলব। কাউকে মাফ নয়। প্রাণের মায়া থাকলে চাকরি ছাড়ুন পুলিশকর্মী, নইলে মৃত্যুর জন্য তৈরি থাকুন। ২০১০ থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় সক্রিয় নাইকু ওরফে মহম্মদ বিন কাসিমকে দীর্ঘদিন ধরেই হাতে পেতে চাইছে নিরাপত্তাবাহিনী। তাকে এ++ সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেওয়া হয়েছে। এক পুলিশ কর্তা বলেন, সোপিয়ানের ট্রেঞ্জ এলাকা থেকে এক ডিএসপির ভাগ্নেকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। গভীর রাতে আদনান আহমেদ শাহ নামে ২৬ বছরের যুবককে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। সোপিয়ানের ওয়াথু গ্রামে বাড়ি থেকে এক পুলিশ অফিসারের ছেলেকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। ইয়াসির ভাট নামে আরেকজনও অপহৃত হয়েছেন। তাঁর বাবা বর্তমানে হজ সফর করছেন। সন্ত্রাসবাদীরা সোপিয়ানের বারথিপোরায় এক কনস্টেবলের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্তাটি। আরেকটি ঘটনায় মধ্য কাশ্মীরের গান্দেরবলে এক পুলিশকর্মীর অপহৃত আত্মীয়কে ব্যাপক মারধর করে ছেড়ে দিয়েছে জঙ্গিরা। অপহরণের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কাশ্মীরে অ্যালার্ট জারি করেছে প্রশাসন।

from home https://ift.tt/2LIV3Y7

Comments